বিশ্বব্যাপী শিপিং শিল্পে ক্যাপ্টেন কিবরিয়ার অসাধারণ অর্জন

১. বিমকোর সদস্যপদ অর্জনে পথিকৃৎ (২০১৩)

ক্যাপ্টেন কিবরিয়ার দূরদর্শী নেতৃত্বে ওশান শিপট্রেড পিটিই লিমিটেড ইতিহাসে প্রথম বাংলাদেশী মালিকানাধীন বিদেশী কোম্পানি হিসেবে বিমকোর সদস্যপদ লাভ করে। বিমকো বিশ্বব্যাপী সমুদ্র বাণিজ্যের মান নির্ধারণ, ব্যবসায়িক নীতিবোধ বৃদ্ধি এবং শিল্পের শীর্ষস্থানীয় বিশ্বাসযোগ্যতা বজায় রাখে। এই অর্জন বাংলাদেশকে বিশ্ব শিপিং উৎকর্ষের মানচিত্রে এক নতুন উচ্চতায় স্থাপন করেছে।

[ বিমকো ]

২. ঐতিহাসিক বাল্টিক এক্সচেঞ্জের সদস্যপদ (২০২০)

ওশান শিপট্রেড পিটিই লিমিটেড নতুন দিগন্ত উন্মোচন করে প্রথম বাংলাদেশী মালিকানাধীন বিদেশী সত্তা হিসেবে মর্যাদাপূর্ণ বাল্টিক এক্সচেঞ্জে যোগদান করে। এটি সমুদ্র বাণিজ্য বিষয়ক বুদ্ধিমত্তা ও মালবাহী বাজার তথ্যের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র। এই অর্জন আন্তর্জাতিক শিপিংয়ের শীর্ষে কাজ করার কোম্পানির কৌশলগত প্রভাব ও অঙ্গীকারকে সুস্পষ্টভাবে তুলে ধরে।

৩. আঞ্চলিক নেতৃত্ব স্বীকৃতি (২০২২)

হাইটন শিপিং চায়না কর্তৃক “শিপ’স মডেল” পুরস্কারে সম্মানিত হয়েছে ক্যাপ্টেন কিবরিয়ার কোম্পানি। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় তাদের শীর্ষস্থানীয় ক্লায়েন্ট হিসেবে এই স্বীকৃতি ব্যতিক্রমী পরিষেবা গুণমান, কার্যকর পরিচালনা এবং প্রতিযোগিতামূলক আঞ্চলিক বাজারে বিশ্বস্ত অংশীদারিত্বের প্রমাণ।
achivment

৪. বিশ্বব্যাপী কৌশলগত জোট গঠন

ক্যাপ্টেন কিবরিয়ার উদ্যোগে ওল্ডেনডর্ফ, কসকো ও কফকোর মতো শিল্প জায়ান্টদের সাথে শক্তিশালী সহযোগিতা স্থাপিত হয়েছে। এর মাধ্যমে ওশান শিপট্রেড বাংলাদেশ এবং বিশ্বব্যাপী সমুদ্র বাণিজ্যের অভিজাত মহলের মধ্যে একটি দৃঢ় সেতু বন্ধনে পরিণত হয়েছে। এই জোট উদ্ভাবন, বাণিজ্য বৃদ্ধি ও আন্তঃমহাদেশীয় ব্যবসায়িক সমন্বয়কে বেগবান করেছে।

  • Oldendorff-carriers – বৃহত্তম জার্মান ভিত্তিক কোম্পানি – প্রায় ৭০০-৯০০টি জাহাজ পরিচালনা করে।
  • CLIPPER group – ডেনমার্কের আন্তর্জাতিক শিপিং কোম্পানি – প্রায় ১৬০-২০০টি শুকনো কার্গো বহর পরিচালনা করে।
  • High ton shipping – চীন থেকে বিশ্বব্যাপী পরিচালিত প্রায় ৩০টি শুকনো কার্গো জাহাজের মালিক।
  • COSCO shipping china – চীনা রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কোম্পানি, বিশ্বব্যাপী ১৫৩৫টি জাহাজ পরিচালনা করে।
  • Western bulk – ইউরোনেক্সট গ্রোথ অসলোতে তালিকাভুক্ত একটি বিশ্বব্যাপী শুকনো কার্গো শিপিং কোম্পানি, প্রায় ১৫০টি জাহাজ পরিচালনা করে।
  • NORDEN – ডেনিশ শিপিং কোম্পানি, এই সংস্থাটি প্রায় ৩০০টি শুকনো কার্গো ও ট্যাঙ্কার জাহাজ পরিচালনা করে।
  • CTM – C Transport Maritime s.a.m – মোনাকোভিত্তিক, যেকোনো সময় প্রায় ১২০টি শুকনো কার্গো জাহাজ পরিচালনা করে।
  • PACIFIC BASIN – হংকং থেকে পরিচালিত বিশ্বব্যাপী পণ্যসম্ভার গ্রুপের লিডার, প্রায় ২৭০-২৯০টি জাহাজ পরিচালনা করে।
  • COFCO intl – চীনভিত্তিক সদর দফতর সহ বিশ্বব্যাপী যেকোনো সময় ২০০টি জাহাজ পরিচালনা করে।
  • TATA NYK – টাটা গ্রুপ এবং এনওয়াইকে (জাপান)-এর যৌথ উদ্যোগে গঠিত কোম্পানি – প্রায় ১৬টি জাহাজ পরিচালনা করে এবং এনওয়াইকে একা প্রায় ১০০টি জাহাজ পরিচালনা করে।
  • MEADWAY / Drydell – বিশ্বব্যাপী পরিচালিত এবং পরিবেশ-বান্ধব ৬০টি জাহাজ রয়েছে।
  • K LINE – জাপানি মালিকানাধীন, বিশ্বব্যাপী ৫৪১টি জাহাজ পরিচালনা করে।
  • DENSAY – ডেনসে শিপিং দুবাই থেকে পরিচালিত – প্রায় ৪৫টি জাহাজের মালিক।


CELLARAM : PWSL / Phaethon /Cosmarine / Xianglong / Glovis / PLATINA / EASTSUN / BG SHIPPING / CENTURIAN / TEAM BULK / LIGHTHOUSE এর মতো আরও অনেক বিশ্বব্যাপী জাহাজ মালিকের সাথে তার সুদৃঢ় সম্পর্ক বিদ্যমান।

যেখানে সম্পর্ক প্রধান, সেখানে তার এই বিশ্বব্যাপী নেটওয়ার্ক কেবল একটি মূল্যবান সম্পদ নয়—এটি বাংলাদেশের আকাঙ্ক্ষাকে সমুদ্র বাণিজ্যের সার্বভৌম শক্তিতে উন্নীত করার এবং এশিয়ার পরবর্তী শিপিং করিডোরের কেন্দ্রবিন্দুতে বাংলাদেশকে স্থাপন করার একটি গেম-পরিবর্তনকারী জীবনরেখা।

৫. আমেরিকান বন্দরে ঐতিহাসিক যাত্রা

ক্যাপ্টেন কিবরিয়ার নেতৃত্বে বাংলাদেশ-নিবন্ধিত একটি বেসরকারি মালিকানাধীন জাহাজের প্রথম সফল মার্কিন বন্দরে আগমন একটি জাতীয় মাইলফলক। এই যুগান্তকারী অর্জন বাংলাদেশের সমুদ্রসীমার সার্বভৌমত্ব ও বিশ্বব্যাপী বাণিজ্য সক্ষমতার ক্ষেত্রে এক বিশাল অগ্রগতি, যা কূটনৈতিক প্রজ্ঞা ও কার্যকরী দক্ষতার এক চমৎকার সমন্বয়।

৬. অভূতপূর্ব আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা সহযোগিতা

এক অনন্য মিশনে, ক্যাপ্টেন কিবরিয়া জাতিসংঘের N World Food Programme (WFP), **Combined Joint Task Force-Horn of Africa (CJTF-HOA), **UK Maritime Trade Office (UKMTO) এবং IMB সাথে সমন্বয়ের মাধ্যমে হেলিকপ্টারসহ পূর্ণ নৌবাহিনীর এসকর্ট নিশ্চিত করেন। এই ঐতিহাসিক অভিযান বিশ্বব্যাপী অংশীদারদের একত্রিত করার তার অসাধারণ ক্ষমতাকে তুলে ধরে, নিরাপদ পথ নিশ্চিত করার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক সমুদ্র নিরাপত্তায় বাংলাদেশের ভূমিকাকে আরও সুদৃঢ় করে।

৭. বিশাল আর্থিক মাইলফলক: ৮ বছরে ১০০ মিলিয়ন ডলার টার্নওভার

শূন্য থেকে শুরু করে, ক্যাপ্টেন কিবরিয়ার উদ্যোক্তা প্রতিভা ও কৌশলগত বিচক্ষণতা ওশান শিপট্রেড পিটিই লিমিটেডকে মাত্র ৮ বছরে বিস্ময়কর ১০০ মিলিয়ন ডলার টার্নওভারে পৌঁছে দিয়েছে—যা বাংলাদেশের সমুদ্র বাণিজ্যের ইতিহাসে এক অতুলনীয় দৃষ্টান্ত।

এই দ্রুত উত্থান, যা নিরলস উদ্ভাবন, বাজারের দূরদর্শিতা ও কার্যকরী দক্ষতার মাধ্যমে অর্জিত, কেবল তার নেতৃত্বের শ্রেষ্ঠত্বই প্রমাণ করে না, বরং কোম্পানিটিকে বিশ্বব্যাপী শিপিংয়ের একটি শক্তিশালী প্রতিষ্ঠানে পরিণত করে। উচ্চাকাঙ্ক্ষাকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার এক অসাধারণ উদাহরণ, এই অর্জন বিশ্ব মঞ্চে বাংলাদেশী উদ্যোগের জন্য সম্ভাবনার নতুন দিগন্ত উন্মোচন করে।

এই অর্জনগুলি বিশ্বব্যাপী শিপিংয়ে একটি ক্রমবর্ধমান শক্তি হিসেবে বাংলাদেশকে প্রতিষ্ঠিত করতে ক্যাপ্টেন কিবরিয়ার পরিবর্তনকারী প্রভাব, কৌশলগত দূরদর্শিতা, কূটনৈতিক প্রজ্ঞা ও কার্যকরী দক্ষতার সংমিশ্রণকে তুলে ধরে।